বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জমি নিয়ে বিরোধে অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি 

  •    
  • ১ জুন, ২০২১ ২২:২২

গত ১৮ মে ফাতেমা বেগম নিজ বাড়ির সামনে খড়ের একটি গাদা তৈরি করতে গেলে জামাল ও হোসেন আলী তাতে বাধা দেন। পরে আদুরীর বাবা বাবুল মিয়া এর প্রতিবাদ করলে তাকে ও তার দুই ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেন তারা। এ সময় অন্তঃসত্ত্বা আদুরী বাবা ও ভাইকে বাঁচাতে গেলে জামাল তার পেটে লাথি মারেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

লালমনিরহাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে তার দুই মামার বিরুদ্ধে। এতে গর্ভেই মারা গেছে তার সন্তান।

গত ১৮ মে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের ঠিকানার বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই নারীর দুই মামা ও এক মামিকে আসামি করে মামলা করা হয়। তবে দুই আসামি আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। একজন পলাতক রয়েছেন।

হামলার শিকার নারীর নাম আদুরী খাতুন। তিনি ঠিকানা বাজারের বাবুল মিয়ার মেয়ে। ঈদ উপলক্ষে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, রাজপুর ইউনিয়নের ১ নং চাংরা আবাসন এলাকার ঠিকানার বাজারে আদুরী খাতুনের মা ফাতেমা বেগমের সঙ্গে মাত্র দুই হাত জমি নিয়ে তার আপন দুই ভাই জামাল ও হোসেন আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ১৮ মে ফাতেমা বেগম নিজ বাড়ির সামনে খড়ের একটি গাদা তৈরি করতে গেলে জামাল ও হোসেন আলী তাতে বাধা দেন।

পরে আদুরীর বাবা বাবুল মিয়া এর প্রতিবাদ করলে তাকে ও তার দুই ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেন তারা। এ সময় অন্তঃসত্ত্বা আদুরী বাবা ও ভাইকে বাঁচাতে গেলে জামাল তার পেটে লাথি মারেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এরপরও ক্ষান্ত হননি মামারা। আদুরীকে যেন কেউ হাসপাতালে নিতে না পারেন এ জন্য বাড়ির চারপাশে দেয়া হয় বাশেঁর বেড়া। এলাকাবাসী যাতে তাদের সহযোগিতা করতে না পারেন সে জন্য দেয়া হয় অস্ত্রের মহড়া।

পরের দিন রাতে আদুরীর অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে ঘরের বেড়া কেটে বাড়ির পেছন দিয়ে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিনি একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন।

আদুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ও আমার স্বামী ভোটমারী থেকে বাবার বাড়িতে ঈদের দাওয়াত খেতে আসি। আমার ভাই ও বাবাকে মামারা যখন মারছিল তখন আমার মা ও আমি বাবাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যাই। আমরা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে তারা আমাকে মারধর করা শুরু করে। এ সময় জামাল মামা আমার পেটে লাথি মারেন। আমি যে অসুস্থ তা তারা দেখল না। মাত্র দুই হাত জায়গার জন্য তারা এমন করেছে। সেটাও আমাদের জায়গা। আমাদের জায়গার উপরই খড়ের গাদা করতে গেলে এ ঘটনা ঘটায় আমার মামারা।’

আদুরী আরও বলেন, ‘আমার পেটের সন্তানকে হত্যা করায় আমার স্বামীর বাড়ীর লোকজনও আমাকে আর নিতে চাচ্ছে না। এটি আমার আমার প্রথম সন্তান ছিল। আমি এখন কী করব? আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

এই ঘটনায় আদুরীর ভাই ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় জামাল, জামালের স্ত্রী সাজিনা বেগম ও হোসেন আলীকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহা আলম নিউজবাংলাকে জানান, মামলার আসামিদের মধ্যে সাজিনা বেগম ও হোসেন আলী আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। অপর আসামি জামাল পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর